বুখারীর সনদ

সনদ বা বর্ণনা সূত্র মানে আমরা যেই হাদীস বলি সেই হাদীসের বর্ণনাসূত্র হুজুর ﷺ পর্যন্ত থাকা ।
অর্থাৎ এখন যিনি হাদীস বর্ণনা করছেন তার থেকে নিয়ে কার কার মাধ্যমে নবীজি ﷺ পর্যন্ত পৌছেছে।
আমাদের (হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক দা.বা) থেকে নিয়ে কমপক্ষে ২৭/২৮ জনের পরেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ ﷺ নাম আসে।
এই নামের তালিকায় যারা আছেন তাঁদের প্রত্যেকের জীবনী লিখা হয়েছে।
আর জীবনী কোন একজন ব্যক্তি লিখেন নাই বরং বহু আল্লাহর অলী, আলেমগণ লিখেছেন।
তাঁর জন্ম,মৃত্যু,কোন কোন উস্তাদের নিকট ইলম হাসীল করেছেন, কোন এলাকায় বসবাস করতেন, তাঁর তাকওয়া-পরহেজগারী ইত্যাদি প্রায় সব লিখা হয়েছে।
যে কেউ যে কারো ব্যপারে জানতে চাইবে সে তা পাবে।
আসমাউর রিজাল থেকে তা জানিয়ে দেয়া যাবে যে এই হাদীস বর্ণনাকারী কেমন ছিলেন।
সাধারণতঃ মানুষ তাদের ছেলে-মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ের ব্যপারে কত চৌকসের সাথে সব খবর নিয়ে থাকে।
যারা এই সকল হাদীস বর্ণনাকারীদের জীবনী লিখেছেন তারা এর চেয়েও বহু গুনে বেশী সচেতনতার সাথে হাদীস বর্ণনাকারীদের ব্যপারে জেনে তা রচনা করেছেন।
ইতিহাস জানা জরুরী না কিন্তু আসমাউর রিজাল যে ইতিহাস তা জানা ফরজে কিফায়া।
কেননা এর উপর নির্ভর করেই হাদীস সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই ইতিহাস সংরক্ষন করতে হবে।
এক জামাতের জন্য জরুরী।
তা না হলে ইসলামের বিভিন্ন নামধারীরা ইসলামের ক্ষতি খুব সহজে করবে।
আমাদের আকাবিররা বলেন, যাদের নিকট থেকে হাদীস সংগ্রহ করা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকে আল্লাহওয়ালা।
প্রত্যেকে একেকটা নূরের ক্ষুটি।
এই সনদ এই উম্মতের একটা বৈশির্ষ্ট্য।
এই উম্মত প্রত্যেকটা হাদীসের ব্যপারে বলতে পারবে কার কার মাধ্যমে হাদীসটা আল্লাহর রাসূল ﷺ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
অন্য কোন ধর্মের লোক তাদের একটা কথাও তাদের নবী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে না।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এর মূল্য বুঝার তোফিক দান করেন।
আমীন।


বিস্তারিত সনদ দেখুন


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন