ইসলাহী সনদ

অন্তরের ১০টি রোগের চিকিৎসা করে অন্তরের ১০টি গুণ হাসিল করার নাম তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি।
যা শরী‘আতের দৃষ্টিতে ফরযে আইন এবং এর জন্যে কোন ইজাযত প্রাপ্ত শাইখের সাথে ইসলাহী সম্পর্ক করাও ফরযে আইন।
বাইআত হওয়া ফরয বা ওয়াজিব নয় বরং এটা মুস্তাহাব, এর উপর আত্মশুদ্ধি নির্ভর করে না।
আত্মশুদ্ধি অর্জন হলে সমস্ত জাহেরী গুনাহ বর্জন করা এবং জাহেরী ইবাদত-বন্দেগী করা সহজ হয়ে যায় এবং সেই বন্দেগীকে তাকওয়ার যিন্দেগী বা সুন্নতী যিন্দেগী বলে এবং সে ব্যক্তি তখন আল্লাহর ওলী হয় এবং তার হায়াতে তাইয়িবা তথা পবিত্র জীবন নসীব হয়।
আল্লাহ তা‘আলা সকলকে এ দৌলত নসীব করেন, আমীন।


শায়খুল হাদীস হযরতুল আল্লাম মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা. বা.
হারদুয়ীর হযরত মুহিউস সুন্নাহ মুজাদ্দিদে-দ্বীন মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ. এর জীবদ্দশায় তাঁর সাথে ইসলাহী সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি শায়খের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে তাঁর হুকুমে মানুষের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক ঊৎকর্ষের মেহনত শুরু করেন।
তিনি হারদুয়ীর হযরত রহ. এর বাংলাদেশী শীর্ষস্থানীয় খলীফাদের অন্যতম।
হযরত মুফতী সাহেব দা.বা. মূলত চিঠিপত্রের মাধ্যমে মানুষের আত্মিক রোগের চিকিৎসা করে থাকেন।
তাঁর সাথে ইসলাহী সম্পর্কে আবদ্ধগণ প্রতি মাসে অন্তত একবার চিঠির মাধ্যমে নিজ অবস্থা সম্পর্কে অবগতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ইসলাহী পরামর্শ লাভ করেন।
এভাবে তিনি কুদৃষ্টি, ক্রোধ, হিংসা, লোভ, অহংকারসহ যাবতীয় আত্মিক রোগে ভুক্তভোগীদের রোগমুক্ত করে তাদেরকে আল্লাহওয়ালা বানানোর মহান খিদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।
বিস্তারিত সনদ দেখুন 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন