বাতিলের বিরুদ্ধে নির্ভীক সেনানায়ক


দ্বীনি দাওয়াতের পথ বৈরিতা কিংবা প্রতিকূলতা মুক্ত নয়।
দ্বীনের পতাকাবাহী দা‘ঈগণের মোকাবেলায় সর্বযুগেই একদল প্রবঞ্চক হকের আবরণে বাতিলের দাওয়াত দিয়ে গেছে।
এ কারণেই সব যুগে দ্বীনের দা‘ঈগণ হকের দাওয়াত পৌঁছানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে বাতিলের ব্যাপারে অবিরাম সতর্ক করে গেছেন।
পূর্বযুগের ধারাবাহিকতায় এ যুগেও বাতিলের ধ্বজাধারীরা সকল পথ ও পন্থা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
হযরত মুফতী সাহেব দা.বা. দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সমসাময়িক সব বাতিল মতবাদের ব্যাপারে সচেতন করে থাকেন।
শিয়া মতবাদ, মওদূদী ফেতনা, কাদিয়ানী মতবাদ, লা-মাযহাবিয়াতসহ কোনো ভ্রান্ত মতবাদই তাঁর বলিষ্ঠ আঘাত থেকে নিস্তার পায় না।
সব বাতিল মতবাদের উপরেই তিনি অকাট্য, প্রামাণ্য এবং বিশ্লেষণী আলোচনা উপস্থাপন করেন।
বাতিল যত শক্তিশালী এবং ক্ষমতাধরই হোক তিনি নির্ভীকচিত্তে, বলিষ্ঠকণ্ঠে তাদের ভ্রান্তি ও প্রতারণাগুলো সুস্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেন।
বাতিল প্রসঙ্গে তাঁর বিশ্লেষণপূর্ণ কথাগুলো এতটাই সহজবোধ্য এবং প্রাঞ্জল হয় যে, রিক্তহস্ত সাধারণ মানুষের জন্য তার একেকটি কথা বাতিলের বিরুদ্ধে বড় বড় হাতিয়াররূপে হস্তগত হয়।
হযরত মুফতী সাহেব দা.বা. এর সব বয়ানে সাধারণত প্রাসঙ্গিকভাবে বাতিলের আলোচনা চলে আসে।
এভাবে প্রসঙ্গক্রমে বাতিলের আলোচনায় তিনি কিছুটা বিশ্লেষণও করেন।
এতে উপস্থিত শ্রোতাগণ বাতিল সম্পর্কে ছোট কিন্তু শক্ত কিছু কথা পেয়ে যান।
এছাড়াও হযরত মুফতী সাহেব দা.বা. সরাসরি সুনির্দিষ্ট বাতিল মতবাদ বিষয়ক সেমিনারেও অংশগ্রহণ করে থাকেন।
ইতোমধ্যে তিনি ঢাকার বসুন্ধরা, কাঁচপুর এবং বগুড়া, মানিকগঞ্জ, ভৈরবসহ বিভিন্ন জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং বিশ্লেষণী আলোচনা করেছেন।
এগুলোর কোনো কোনো আলোচনা ধারণকৃত অবস্থায় সিডি আকারে পরিবেশিতও হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন