রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

যে চেরাগ জ্বলে নিরন্তর...

সামাজিক জীবনে প্রত্যেক মানুষ অপরাপর মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ।
এগুলোর কিছু সম্পর্ক তো সৃষ্টিগত,
খোদাপ্রদত্ত আর কিছু সস্পর্ক স্বয়ং মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে সৃষ্ট।
প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মনীতি আছে এবং আছে সুনির্দিষ্ট মানদন্ড।
এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অপর প্রান্তের প্রতি কিছু কর্তব্য পালন করলে মানুষ অভিহিত হয় ভালো পিতা, সৎ প্রতিবেশী, সফল ব্যবসায়ী কিংবা জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবে।
এর বিপরীতে যে ব্যক্তি নিয়মনীতি ভঙ্গ করে অপরের হক বিনষ্ট করে তার অবস্থান সাফল্য বা প্রিয়তা থেকে যোজন যোজন দূরে।
হযরত শাইখুল হাদীস মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা. সম্পর্কে কোনরূপ আতিশয়োক্তি ছাড়া নির্দ্বিধায়ই এ কথা বলা যায় যে, জীবনের সকল ক্ষেত্রে তিনি একজন সফল মানুষ।
জামি‘আ কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগের কিংবদন্তিতুল্য আসাতিযায়ে কেরামের কাছে লেখাপড়া শেষ করার পর তাঁদের তত্ত্বাবধানে সেখানেই তিনি অধ্যাপনায় যুক্ত হন।
শতাব্দীর সেরা উস্তাদদের তত্ত্বাবধানে এ সময় তিনি শিক্ষকতার নাড়িনক্ষত্র আয়ত্ব করতে পেরেছিলেন।
ফলে নববী তিন দায়িত্বের একটি তথা “তা’লীমে”র উপর এ সময়ই তাঁর দক্ষতা অর্জিত হয়।
এরপর ১৯৮৯ ইং সালে হারদুঈর হযরত মুহিউসসুন্নাহ মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ. এর সান্নিধ্যে গিয়ে অবশিষ্ট দু’ দায়িত্ব তথা তাযকিয়া ও তাবলীগের গুরুত্ব অনুধাবন করেন।
এ সময়ে তিনি হারদুঈর হযরত রহ. এর কাছে এ বিষয়ে দীক্ষা লাভ করেন যে, পরকালে নাজাত পাওয়ার জন্য শুধু নিজের ঈমান-আমলের সংশোধনই যথেষ্ট নয়।
বরং অপরাপর মুসলমানের ঈমান-আমল বিশুদ্ধ করাও একজন ওয়ারিসে নবীর ফরয দায়িত্ব।
এই দীক্ষা লাভের পর তিনি তা‘লীমের পাশাপাশি মানুষের কাছে দীন পৌঁছানোর সম্ভাব্য সকল পথে মেহনত করার ব্যাপারে আরো বেশি মনোনিবেশ করেন।
দাওয়াত-তা‘লীম-তাযকিয়া সহ দীনের সকল অঙ্গনে তিনি আজো ইখলাস ও অভিজ্ঞতার সাথে সুনিপুণভাবে খিদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।
ফলে আজ তিনি সকল প্রাণের প্রিয়মুখ সাব্যস্ত হয়েছেন।
শাইখুল হাদীস হযরতুল আল্লাম মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা. বা.
একাধারে সেরা শিক্ষক, প্রভাবশালী বক্তা, বিদগ্ধ ফকীহ এবং বাতিলের বিরুদ্ধে নির্ভীক সেনানায়ক।
তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং কথার প্রভাবে আমির-ফকির নির্বিশেষে সবার হৃদয়ে ঈমানের আলোড়ন জাগে।
বিস্তারিত পড়ুন